শক্ত মাটিতে পরিণত কাগজের কোরান শরিফ!
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
দীর্ঘ দু’বছর ধরে ঘরের শোকেসের ভেতর থাকা দুটো কাগজের কোরান শরীফ সম্পূর্ণ শক্ত মাটিতে পরিণত হয়ে গেছে। তবে কীভাবে এ ঘটনা ঘটল তা উপস্থিত সবার কাছে সম্পূর্ণ অজানা। হাবিবুর রহমান বলছেন, দু বছর যাবৎ এ কোরান শরিফ দুটো কেউ একবারের জন্যও পড়েনি।
ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের হবিবুল্লাহপুর গ্রামের মো. হাবিবুর রহমানের বাড়িতে।
হাবিবুর রহমানের মা ওমিছান নেছা জানান, ‘মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎ করে ঘরের শোকেসে থাকা কোরআন শরীফ দুটি দীর্ঘ দুবছর পর বের করেন। এরপর কোরান শরীফ দুটি একেবারে শক্ত মাটিতে পরিণত হওয়ার বিষয়টি দেখে আতঙ্কিত হয়ে উঠেন। পরে দ্রুত বিষয়টি বাড়ির অন্য লোকদের জানান’।
এদিকে, তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কোরআন শরীফ দুটি এক নজর দেখার জন্য হাবিবুরের বাড়িতে ভিড় জমান গ্রামের লোকজন।
খবর পেয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য হাবিবুল্লাহর বাড়িতে উপস্থিত হন বিভিন্ন মিডিয়ার স্থানীয় সাংবাদিকরা।
ওমিছান নেছা উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘তার ছেলে হাবিবুর রহমান স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকার একটি গার্মেন্টে চাকরি করেন। তিনি গত দুই বছর আগে তার ঘরের শোকেসের ভেতর দুটি কোরআন শরীফ পৃথক রেহেলে রেখে যান। এরপর তিনি ও তার স্ত্রী মাঝে মধ্যে বাড়িতে এলেও কোরআন শরীফ দুটির কথা মনে ছিল না একেবারেই’।
এদিকে, মাটিতে পরিণত হওয়া কোরআন শরীফ দুটিতে দেখা যায়, কাগজ বা আরবী হরফের কোনো চিহ্ন নেই । সম্পূর্ণ কোরআন শরীফ দুটি একদম পরিপূর্ণ শক্ত মাটিতে পরিণত হয়ে গেছে। তবে কোরআন শরীফ দুটির উপরে প্লাস্টিক দিয়ে মোড়ানো কভার ও প্লাস্টিকের রেহেল দুটি ঠিক আগের মতোই আছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. ফিরোজ শাহ বাবলু বলেন, ‘কোরআন শরীফ দুটির অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, এ আল্লাহ পাকের দিক থেকে এক কঠিন সতর্কবাণী। ঘরে কোরান আছে কিন্তু পড়ার মানুষ নেই। আল্লাহর তরফ থেকে এ রকম নিদর্শন শুধু মানুষকে সতর্ক করার জন্য।’
শিক্ষণীয়: ঘরে কোরান থাকার পরও যারা ব্যস্ততার জন্য একবারও কোরান শরিফ পড়ার সময় পান না, এটা তাদের জন্য সতর্কবাণী আল্লাহর পক্ষ থেকে। এরকম জলন্ত প্রমাণের পরও যারা বিশ্বাস করে না, এমন সত্যকে প্রচার করে না; সময় এসেছে তাদের বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করার।
========